|

৭ম শ্রেণির বাংলা ৭ম অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ – প্রশ্ন করতে শেখা

৭ম শ্রেণির বাংলা ৭ম অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ: আমরা সাধারণত কোনোকিছু জানতে বা জানাতেই পরস্পর কথা বলি। এর ভেতর দিয়ে আমাদের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান হয়। তথ্যের এই আদানপ্রদান যেকোনো আলোচনার বা কথার মূল বিষয়। এছাড়া কোনো বিষয় ভালোভাবে বুঝে নেওয়ার জন্য বা কোনো বিষয়ে সংশয় দূর করতেও আমাদেরকে প্রশ্ন করতে হয়। তাই প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে দক্ষ ও কৌশলী হতে পারলে কম সময়ের মধ্যেই কার্যকর উপায়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা লাভ করা সম্ভব। এ পরিচ্ছেদটিতে তাই শিখনদক্ষতা হিসেবে প্রশ্ন করতে শেখার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

পাঠ বিশ্লেষণ

পাঠের উদ্দেশ্য: শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রশ্ন ও উত্তর করতে দক্ষ করে তোলা।
নামকরণ: পরিচ্ছেদটি পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করা ও উত্তর দেওয়া সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে। এ পরিচ্ছেদে উপযুক্ত প্রশ্ন করে কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছবি দেখে প্রশ্ন করা ও উত্তর করা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। সেই বিবেচনায় পরিচ্ছেদটির নাম ‘প্রশ্ন করতে শেখা’ সার্থক হয়েছে।


প্রশ্ন

বিশ্বজগতে নানা রকম ঘটনা ঘটে। সেসব ঘটনা আমাদের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করে। ফলে মনের ভেতর নানা রকম প্রশ্ন জাগে। তখন জানতে ইচ্ছা করে জিনিসটি কী, কোথা থেকে এলো, কীভাবে এলো ইত্যাদি বিষয়। এই জানার আগ্রহ থেকে যে জিজ্ঞাসার উদয় হয়, তাকেই বলে প্রশ্ন। আমাদের প্রতিদিনের দেখা উপাদান, ঘটনা এবং পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয় পড়তে গেলেও আমাদের মনে এরকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আর এই প্রশ্ন তৈরির মাধ্যমেই আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা বৃদ্ধি পায়। প্রশ্নের জবাবের মাধ্যমে প্রশ্নের বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব। এ কারণে আমাদের প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ প্রশ্ন করতে শেখা প্রয়োজন।

প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে করণীয়

  • প্রথমেই সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়টি থেকে কোন কোন বিষয়ে জানতে পারলে কৌতূহল পূরণ হবে সেটা চিন্তা করা।
  • বিষয়টি থেকে কী ধরনের প্রশ্ন হতে পারে তা ভাবা।
  • প্রশ্ন করার জন্য কী, কেন, কীভাবে, কে, কারা, কার, কোথায়, কখন, কত, কোন ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা।

পাঠ মূল্যায়ন

প্রশ্ন-১. কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকে যে জিজ্ঞাসার উদয় হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রশ্ন।

প্রশ্ন-২. প্রশ্ন তৈরির মাধ্যমে আমাদের কী বৃদ্ধি পায়?
উত্তর: জ্ঞানের পরিসীমা।

প্রশ্ন-৩. কীসের মাধ্যমে প্রশ্নের বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব?
উত্তর: প্রশ্নের জবাবের।

প্রশ্ন-৪. প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহার করা হয় এমন কয়েকটি শব্দ লেখো।
উত্তর: কী, কেন, কীভাবে, কোথায়, কখন ইত্যাদি।


শিখন অভিজ্ঞতা ২১ – প্রশ্ন করতে শেখা

প্রশ্ন ১. প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে কী কী প্রশ্ন হতে পারে সেগুলো লেখো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।

আজ স্কুল বন্ধ। সকাল থেকেই খুব বৃষ্টি। রাহাত ও রেবা মায়ের কাছে বায়না ধরল খিচুড়ি খাওয়ার। তাদের মা হাসিমুখে বললেন, “আজ খিচুড়ি আমি রান্না করব না। তোমরা রান্না করবে, আমি শুধু তোমাদের কাজে সাহায্য করব।’ এ কথা শুনে রাহাত ও রেবা ভীষণ খুশি হলো। কিন্তু তাদের চিন্তা হলো, আগে কখনো তারা নিজেরা খিচুড়ি রান্না করেনি। মা ব্যাপারটিকে সহজ করে দিলেন। তিনি বললেন, “খিচুড়ি রান্নার উপায় বুঝে নেওয়ার জন্য তোমরা কিছু প্রশ্ন তৈরি করো।’ রাহাত ও রেবা খাতা-কলম নিয়ে বসে গেল প্রশ্ন তৈরি করার জন্য। এমন সব প্রশ্ন তৈরি করতে হবে, যেগুলোর জবাব শুনে খিচুড়ি রান্নার ধাপগুলো বোঝা যায়।

উত্তর: প্রশ্নগুলো যেমন হতে পারে-
১. খিচুড়ি রান্না করতে কী কী লাগে?
উত্তর: খিচুড়ি রান্না করতে মূলত চাল ও ডাল লাগে।

২. খিঁচুড়ির মধ্যে কি কোনো সবজি দেওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, খিচুড়ির মধ্যে সবজি দেওয়া যায়।
৩. কোন কোন সবজি দেওয়া যায়?
উত্তর: আলু, মিষ্টিকুমড়াসহ প্রায় সব ধরনের সবজি দেওয়া যায়।

৪. খিচুড়িতে কোন ধরনের ডাল দিতে হয়?
উত্তর: খিচুড়িতে যেকোনো ধরনের ডালই ব্যবহার করা যায়। যেমন— মসুর ডাল, মুগডাল, ছোলা ইত্যাদি।
৫. খিচুড়ি কি অল্প আঁচে রান্না করতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, রান্না করা যায়। তবে মাঝারি আঁচে রান্না ভালো হয়।

৬. খিঁচুড়িতে কি মাংস দেওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, খিচুড়িতে মাংস দেওয়া যায়। তবে মাংস আগে রান্না করে নিতে হয়।
৭. খিচুড়িতে কোন ধরনের চাল ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: যেকোনো ধরনের চালই ব্যবহার করা যায়, তবে সুগন্ধি আতপ চাল দিয়ে রান্না করলে খিচুড়ি খেতে খুব সুস্বাদু হয়।

প্রশ্ন ২. ‘নতুন কোনো জায়গায় যাওয়া’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
উত্তর: আয়রার মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাবেন। সেন্টমার্টিনের কোনো একটি আবাসিক হোটেলে উঠবেন এবং সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ যাবেন। আয়রাকে বলা হলো কীভাবে ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায় এবং সেখানে গিয়ে করণীয় ও বর্জনীয় কিছু কাজের তালিকা তৈরি করতে। এ ব্যাপারে আয়রার বাবা তাকে সাহায্য করবেন বললেন। আয়রা তার বাবাকে প্রশ্ন করতে শুরু করল ও জবাব পেতে লাগল। প্রশ্নগুলো যেমন হতে পারে—

১. ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন কীভাবে যাওয়া যাবে?
উত্তর: ঢাকা থেকে প্রথমে বাসে করে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফে যেতে হবে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্ট মার্টিন যেতে হবে।
২. বিকল্প কোনো পথ আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, ঢাকা থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম যেতে হবে, সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে।

৩. থাকার জন্য হোটেল কীভাবে ঠিক করব?
উত্তর: আগে থেকে অনলাইনে বুকিং দিতে হবে অথবা সরাসরি উপস্থিত হয়ে ঠিক করতে হবে।
৪. সেখানে খাওয়াদাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, পর্যটকদের খাবারের জন্য বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।

৫. সঙ্গে কী কী জিনিস নিতে হবে?
উত্তর: ছাতা, জুতা, জামাকাপড় ও একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে।
৬. সেখানে গিয়ে কী কী করা যাবে না?
উত্তর: একা একা ঘুরতে বের হওয়া যাবে না। প্লাস্টিকের কোনো বোতল বা প্যাকেট সাগরে ফেলা যাবে না। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।

৭. কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
উত্তর: সেন্টমার্টিনে কোনো খাবার অপচয় করা যাবে না। কারণ, দ্বীপটি মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা। সেখানে প্রবাল পাথর সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, সেন্টমার্টিনের প্রবাল পাথর অনেক ধারালো।

প্রশ্ন ৩. ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
উত্তর: আদর্শ বিদ্যানিকেতনে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। একেক বছর একেক শ্রেণির ওপর এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বছর সেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর। শ্রেণিশিক্ষক জনাব আতাহার আলী সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করলেন। এই কমিটি শিক্ষকদের পরামর্শে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তাদের অনেক বিষয় জানা দরকার। বিষয়গুলো জানার জন্য প্রশ্ন করতে হবে ও আলোচনা করতে হবে। প্রশ্নগুলো হতে পারে নিম্নরূপ:

১. অনুষ্ঠান কোন জায়গায় আয়োজিত হবে?
উত্তর: স্কুলের মাঠে আয়োজিত হবে।
২. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে?
উত্তর: গান, নাচ, আবৃত্তি, অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি।

৩. মঞ্চ প্রস্তুত করার জন্য কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে?
উত্তর: স্থানীয় ডেকোরেশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৪. অনুষ্ঠানের বিচারক কারা হবেন?
উত্তর: সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ বিচারক হবেন।

৫. পুরস্কার হিসেবে কী কী জিনিস থাকবে?
উত্তর: বই, অভিধান, পেনসিল বক্স, রং পেনসিল ইত্যাদি থাকতে পারে।
৬. অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য খাবার কারা সরবরাহ করবে?
উত্তর: শিক্ষকেরা খাবারের তালিকা তৈরি করে দেওয়ার পর যে কমিটির দায়িত্বে থাকবে সে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে খাবার সরবরাহ করবে।

প্রশ্ন ৪. ‘বনভোজনের ব্যবস্থা করা’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
উত্তর: বিরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে একটি বনভোজনের আয়োজন করা হচ্ছে। বছর শেষে শিক্ষার্থীরা এ দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে। শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা পাশের জেলার পাহাড়ি অঞ্চল ঘুরে আসবেন। প্রত্যেক ক্লাস থেকেই দুইজন করে শিক্ষার্থী বাছাই করে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলো চাঁদা তোলার জন্য। এছাড়া তাদের দায়িত্ব হলো, সুষ্ঠুভাবে বনভোজনের ব্যবস্থা করতে শিক্ষকদের সহায়তা করা। এ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে তারা শিক্ষকদের কিছু প্রশ্ন করল ও উত্তর পেল। প্রশ্নগুলো যেমন হতে পারে-

১. বনভোজনে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের বাহন কী হবে?
উত্তর: যাতায়াতের বাহন হবে বাস।
২. বনভোজনের জন্য মাথাপিছু প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ কত?
উত্তর: প্রত্যেকে পাঁচ শত টাকা করে চাঁদা দেবে।

৩. বনভোজনে খাবার কীভাবে তৈরি হবে?
উত্তর: বনভোজনের স্থানে পৌঁছে রান্নার আয়োজন করা হবে। একজন বাবুর্চি থাকবেন রান্না করার জন্য।
৪. বনভোজনে কি ছবি তোলা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, ছবি তোলা যাবে।

৫. বনভোজনে কী কী করা যাবে না?
উত্তর: দলছুট হওয়া যাবে না। উচ্চৈঃস্বরে গান বাজানো যাবে না।
৬. আমরা কখন ফিরে আসব?
উত্তর: আমরা সন্ধ্যার আগেই বাসে উঠব, রাত নয়টার দিকে আমাদের শহরে পৌছে যাব।


৭ম শ্রেণির বাংলা ৭ম অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ বড় প্রশ্ন

প্রশ্ন ০১: ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
উত্তর: নতুন বছরের প্রথম দিন দেশব্যাপী উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস’। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও আয়োজিত হতে যাচ্ছে অনুষ্ঠানটি। বছর শেষে সকল শিক্ষার্থীই নতুন বইয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকে। শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রত্যেক ক্লাস থেকে দুইজন করে ছাত্র-ছাত্রী বাছাই করেন। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলো সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানটি ব্যবস্থা করতে শিক্ষকদের সহায়তা করার জন্য। এ দায়িত্ব পালন করতে তারা শিক্ষকদের কিছু প্রশ্ন করল ও জবাব পেল।

১. অনুষ্ঠানটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: অনুষ্ঠানটি বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
২. প্রধান অতিথি হিসেবে কারা থাকবেন?
উত্তর: প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জেলা প্রশাসক জনাব মো. আবুল মুনসর ও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোমেন শাহী।
৩. নতুন পাঠ্যবই কর্মসূচি কীভাবে শুরু হবে?
উত্তর: প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসের উদ্‌বোধনের পর থেকেই বই বিতরণ শুরু হবে।

৪. কোন কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে?
উত্তর: গান, নাচ, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে।
৫. অতিথিদের আপ্যায়নের দায়িত্বে কারা থাকবেন?
উত্তর: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আপ্যায়নের জন্য দল প্রস্তুত করা হবে।
৬. প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে কী থাকবে?
উত্তর: পুরস্কার হিসেবে থাকবে বই।

প্রশ্ন ০২: ‘বিজ্ঞান মেলার আয়োজন নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
উত্তর: একটি সমাজ ও জাতির বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ এবং সভ্যতাকে প্রদর্শনের দায়িত্ব থেকে উন্মেষ বিদ্যানিকেতন বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে। আয়োজনটিকে সর্বাঙ্গীণভাবে সফল করে তোলার জন্য ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন আইসিটি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক নোমান রহমান স্যার। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে স্কুলের অডিটোরিয়ামে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষকবৃন্দ ছাত্র-ছাত্রীদের নানা বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে আহ্বান জানান। আয়োজনটিকে সফল করতে প্রশ্ন করার কথা বলেন। যেগুলোর জবাব শুনে আয়োজনের ধাপগুলো বোঝা যায়।

১. মেলাটি কোথায় আয়োজন করা হবে?
উত্তর: মেলাটি অনেক মানুষের সমাগমকে মাথায় রেখে মাঠে আয়োজন করা যেতে পারে।
২. বিদ্যালয় প্রাঙ্গণটির সাজ-সজ্জা কেমন হবে?
উত্তর: বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনা ও ধ্যান-ধারণায় প্রাঙ্গণটিকে বর্ণিল সাজে সাজানো হবে।
৩. বিচারক হিসেবে কারা থাকবেন?
উত্তর: জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ বিচারক হিসেবে থাকবেন।

৪. এর সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানের সমন্বয় করা হবে কি না?
উত্তর: হ্যাঁ। অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।
৫. পুরস্কার হিসেবে কী থাকবে?
উত্তর: পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের জন্য বই ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা করা হবে।
৬. মেলাটি কত দিন ধরে চলবে?
উত্তর: সকলকে সম্পৃক্ত করতে তিন দিনব্যাপী মেলা চলবে।

প্রশ্ন ০৩: ‘নজরুলজয়ন্তী উদযাপন’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
উত্তর: মনিপুর স্কুলে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘নজরুলজয়ন্তী’। একেক বছর একেক শ্রেণির ওপর এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার সেই দায়িত্ব সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সপ্তম শ্রেণি থেকে ভোটের মাধ্যমে অনন্ত ও রুবিনাকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হলো। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তাদের যা কিছু জানা দরকার, তার জন্য প্রশ্নের তালিকা তৈরি করতে হবে। সেগুলোর উত্তরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।

১. অনুষ্ঠানটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: অনুষ্ঠানটি স্কুলের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
২. উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কারা উপস্থিত হতে পারেন?
উত্তর: উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক।
৩. অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে কী থাকবে?
উত্তর: অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘নজরুলের জীবন ও সাহিত্যে মানবতাবাদ’ নামে প্রবন্ধ পাঠ করবেন বাংলা বিষয়ের শিক্ষক আবদুর রশীদ।

৪. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কী কী থাকতে পারে?
উত্তর: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত কণ্ঠে নজরুলসংগীত ও নজরুলের কবিতা পাঠের আয়োজন করতে হবে।
৫. অতিথিবৃন্দের আপ্যায়নের দায়িত্বে কারা থাকবে?
উত্তর: শিক্ষকরা কমিটির সদস্যদের ওপর যথাযথ দায়িত্ব বণ্টন করবেন।
৬. পুরস্কার হিসেবে কী থাকতে পারে?
উত্তর: পুরস্কার হিসেবে নজরুলের বই উপহার থাকতে পারে।

প্রশ্ন ০৪: প্রশ্ন করার জন্য বিবেচ্য বিষয়সমূহ কী কী? আলোচনা করো।
উত্তর: প্রশ্ন করার জন্য যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখা দরকার সেগুলো হলো-
১. পরিস্থিতি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা।
২. প্রশ্নগুলো বিষয় সম্পর্কিত হওয়া। অর্থাৎ আলোচ্য বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে।
৩. সহজ ও সাবলীল ভাষায় প্রশ্ন করা।

৪. প্রশ্নগুলো হতে হবে সংক্ষিপ্ত ও সুস্পষ্ট।
৫. প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য আগ্রহী হওয়া।
৬. প্রশ্নগুলোর উত্তর শোনার জন্য আগ্রহী হওয়া।
৭. কৌতূহলমূলক প্রশ্ন করতে পারা।
৮. কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে তা চিহ্নিত করতে পারা এবং তা নিরসনের জন্য পুনরায় প্রশ্ন করা।


আরও দেখুন: ৭ম শ্রেণির বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ – নাটক
আরও দেখুন: ৭ম শ্রেণির বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ৭ম পরিচ্ছেদ – সাহিত্যের নান রূপ


৭ম শ্রেণির বাংলা ৭ম অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ এ প্রশ্ন করতে শেখা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, এবং আমাদের আজকের আর্টিকেলে ৭ম শ্রেণির বাংলা ৭ম অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ প্রশ্ন করতে শেখা এর সকল প্রশ্নোত্তর শেয়ার করা হয়েছে। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং লাইভ ক্লাস করতে সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।