|

৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায় – কুকিং

৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায়: পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে সবসময় আমরা একই রকম অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে পারব- এমনটি নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যদি সবসময় পরিবারের সদস্য অথবা সাহায্যকারীর ওপর নির্ভর করি তাহলে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারি। যেমন হঠাৎ হয়ত মা-বাবা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন অথবা অন্যত্র চলে যেতে পারেন।

আমাদের সবার উচিত পরিবারের কাজগুলো বিশেষ করে কিছু সাধারণ রান্নার কাজ শিখে রাখা। যেন এসকল পরিবর্তনশীল পরিবেশে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকতে পারি। তাই এ অধ্যায়ই এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন শিক্ষার্থীরা নিজে নিজে রান্না করতে পারে।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায়

ভাত রান্না

ভাত ডাঙালির প্রধান খাদ্য। ভাতে আছে ভিটামিন ও খনিজ। যা স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। বিশ্বে বিভিন্ন জাতের ভাতের চাল আছে। আবার দেশভেদে ভাত রান্নার পদ্ধতিও একেক রকম। এই পাঠের মাধ্যমে আমরা ভাত রান্না সম্পর্কে জানবো।

ডিম ভাজা

ডিম খুবই সুস্বাদু এবং অতি পরিচিত পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিম দিয়ে খুব সহজেই বৈচিত্র্যময় নাস্তা তৈরি করে খাওয়া যায় এবং বিভিন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা যায়।

আলু ভর্তা

আলু ভর্তা আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। ছোট থেকে বড় সবারই আলু ভর্তা খুব পছন্দ। আলুতে রয়েছে শর্করা, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধিতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায় এর কাজ

কাজ ১: ভাত রান্না করে তুমি কী শিখলে? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ১১৭]
উত্তর: ভাত রান্না করে যা যা শিখলাম:
১. চাল পরিষ্কার করা।
২. চুলার আঁচ সম্পর্কে ধারণা।
৩. ভাত রান্নার পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করা।
৪. ভাতের উপকারিতা।
৫. চালের ভিন্নতা।

কাজ ৩: ডিম ভাজা থেকে কী কী শিখলে পাঠাবই [পৃষ্ঠা ১২৩]
উত্তর: ডিম ভাজা থেকে যা যা শিখলাম:
১. সকল উপকরণ ও সরঞ্জাম পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া।
২. ছুরি, বঁটি ইত্যাদি ধারালো সরঞ্জাম সাবধানে ব্যবহার করা ও কাজ শেষে সঠিক স্থানে গুছিয়ে রাখা।
৩. ডিমভাজার পদ্ধতি ধারাবাহিক অনুস্মরণ করা।

৪. পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে কাটা।
৫. চুলা জ্বালানো।
৬. থালা-বাটি ইত্যাদি পরিস্কার করে ধোয়া।
৭. ডিমের পুষ্টিগুণ।
৮. খাদ্য হিসেবে ডিমের গুরুত্ব।

কাজ ৫: আলু ভর্তা বানাতে গিয়ে কী কী শিখলে?|পাঠ্যবই পৃষ্ঠা ১৩০]
উত্তর: আলু ভর্তা বানাতে যা যা শিখলাম:
১. সকল পাত্র, উপকরণ ও সরঞ্জাম পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া।
২. ছুরি, বঁটি ইত্যাদি ধারালো সরঞ্জাম সাবধানে ব্যবহার করা ও কাজ শেষে সঠিক স্থানে গুছিয়ে রাখা।
৩. আলু সিদ্ধ করার পর পাত্রে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে ঠান্ডা হবার জন্য যাতে গরম আলু বা পানি লেগে হাত পুড়ে না যায়।

৪. আলুর ভর্তা করার কলাকৌশল।
৫. পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কচি করে কাটা।
৬. আলু সিদ্ধ করা।
৭. আলুর খোসা/ চামড়া উঠানো (ছিলা)
৮. চুলা জ্বালানো।
৯. আলুর পুষ্টিগুণ।
১০. খাবার হিসেবে আলুর গুরুত্ব।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। বাঙালির প্রধান খাদ্য কোনটি?
উত্তর: ভাত।

প্রশ্ন ২। কোনটি পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষের প্রধান খাবার?
উত্তর: ভাত।

প্রশ্ন ৩। বিশ্বে বিভিন্ন জাতের কী আছে?
উত্তর: চাল।

প্রশ্ন ৪। দেশভেদে কোনটির রান্নার পদ্ধতিও একেক রকম?
উত্তর: ভাত।

প্রশ্ন ৫। ভাতে কী আছে?
উত্তর: ভিটামিন ও খনিজ।

প্রশ্ন ৬। আমরা ভাত থেকে কী পাই?
উত্তর: ভিটামিন বি।

প্রশ্ন ৭। স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য কী?
উত্তর: ভিটামিন বি।

প্রশ্ন ৮। সব ধরনের চাল দিয়ে কী রান্না করা যায়?
উত্তর: ভাত।

প্রশ্ন ৯। সুম্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার কোনটি?
উত্তর: ডিম।

প্রশ্ন ১০। দেহের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন কী খাদ্য গ্রহণ করা উচিত?
উত্তর: প্রোটিন জাতীয় খাদ্য।

প্রশ্ন ১১। প্রোটিনের ভালো উৎস কোনটি?
উত্তর: ডিম।

প্রশ্ন ১২। চোখের সুস্থতায় প্রতিদিন কোনটি খাওয়া জরুরি?
উত্তর: ডিম।

প্রশ্ন ১৩। কোনটি থেকে ভিটামিন এ ও ডি পাওয়া যায়?
উত্তর: ডিম।

প্রশ্ন ১৪। কোনটি রান্না করা সহজ?
উত্তর: ডিম।

প্রশ্ন ১৫। ভাজা, সিদ্ধ, পোঁচ তরকারি ইত্যাদি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় কোনটি?
উত্তর: ডিম।

প্রশ্ন ১৬। ডিম ভাজার জন্য কী কী লাগবে?
উত্তর: ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, তেল, লবণ ইত্যাদি

প্রশ্ন ১৭। ঐতিহ্যবাহী খাবার কোনটি?
উত্তর: ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা।

প্রশ্ন ১৮। আলু থেকে আমরা কী পাই?
উত্তর: শর্করা।

প্রশ্ন ১৯। কোনটিতে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে?
উত্তর: আলুতে।

প্রশ্ন ২০। জাম বা দলিতা কীসের জাত?
উত্তর: আলু।

প্রশ্ন ২১। আলু ভর্তা করতে কী কী লাগবে?
উত্তর: আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও সরিষার তেল।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। বাঙালির প্রধান খাদ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর: ভাত বাঙ্গালির প্রধান খাদ্য। পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষেরই প্রধান খাবার ভাত। ভাতে আছে ভিটামিন ও খনিজ। ডাত থেকে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। যা স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।

প্রশ্ন ২। ভাতের ক্যালরি, শর্করা এবং আমিযের পরিমাণের ভিন্নতা ঘটার কারণ কী?
উত্তর: বিশ্বে বিভিন্ন জাতের ভাতের চাল আছে। আবার দেশভেদে ভাত রান্নার পদ্ধতিও একেক রকম। চালের বহুরূপতা ও রান্নার পদ্ধতির ভিন্নতার কারণে ভাতের ক্যালরি, শর্করা এবং আমিষে’ পরিমাণের ভিন্নতা ঘটে থাকে। যেমন- সাদা ভাত, লাল চালের ভাত, আতপ চালের ভাত, সিদ্ধ চালের ভাত, মোটা এবং চিকন চালের ভাত।

প্রশ্ন ৩। ভাত রান্নার সময় কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে? তা লিখ।
উত্তর: ভাত রান্নার সময় যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিচে তা উপস্থাপন করা হলো-

(১) প্রতিবার ধোয়ার সময় চাল হেঁকে পানি ফেলার সময় সতর্ক থাকতে হবে। যেন চাল পড়ে না যায়।
(২) চাল ফুটে উঠার আগ পর্যন্ত চুলার কাছাকাছি থাকতে হবে যেন পানি ফেনাসহ ফুলে উঠে পড়ে গিয়ে চুলা বন্ধ না হয়ে যায়।
(৩) খুন্তি দিয়ে ভাত দেখার সময় হাত নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। এবং ভাতের হাঁড়ি কাপড়/ধরনি দিয়ে ধরে নিতে হবে যেন হাঁড়ি পড়ে না যায়।
(৪) ভাতের পানি শেষ হয়ে গেলে সাথে সাথে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে যেন হাঁড়ির নিচে পোড়া লেগে না যায়।

প্রশ্ন ৪। ডিম দিয়ে কী কী রেসিপি তৈরি করা যায়?
উত্তর: পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাদ্য হলো ডিম। ডিম দিয়ে সুম্বাদু ও বৈচিত্র্যময় নাস্তা তৈরি করে খাওয়া যায় ও বিভিন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা যায়; যেমন- ডিমভাজা, ডিম সিদ্ধ ডিমপোচ। ডিম রান্না, ডিম টোস্ট, ডিমের কেক, ডিম চপ প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৫। আলুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: আলু বাংলাদেশের প্রধান খাবার না হলেও সহায়ক খাবার হিসেবে বেশ পরিচিত। আলুতে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আলু থেকে যে শুধু শর্করা পাওয়া যায় তা নয়। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, কমপ্লেক্স। আলু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে, হজমে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। চাল ৩ বার ধোয়ার পরও কি আরও ধোয়ার প্রয়োজন ছিল?
উত্তর: চাল ৩ বার ভালো করে ধোয়ার পরে চাল পরিষ্কার হয়ে গেছে। চালের মধ্যে আর কোনো ময়লা দেখা যাচ্ছে না। তাই চাল আর ধোয়ার প্রয়োজন নেই।

প্রশ্ন ২। ভাতের মাড় পড়ে কি চুলা নিতে গিয়েছিল?
উত্তর: চুলায় ভাত বসানোর পরে আমি ৫/৬ মিনিট কাছে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম, পানি ফুটে ওঠার সাথে সাথে ঢাকনা সরিয়ে চুলার আঁচ মাঝামাঝি করে দেওয়ায় ভাতের মাড় চুলায় পড়ে চুলা নিভে যায়নি।

প্রশ্ন ৩। রান্নার পর ভাত কি বেশি নরম বা শক্ত হয়েছে?
উত্তর: রান্নার পর ভাত একটু নরম হয়েছে। সাধারণত মা যখন ভাত রান্না করেন তার রান্না করা ভাতের থেকে আমার রান্না করা ভাত একটু নরম হয়েছে।

প্রশ্ন ৪। ভাত রান্না করতে পেরে তোমার কেমন লাগছে?
উত্তর: প্রথমবার ভাত রান্না করতে পেরে আমার খুবই আনন্দ লাগছে। এখন থেকে আমি মাঝে মাঝে মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করার জন্য নিজে ভাত রান্না করব।

প্রশ্ন ৫। ভাত রান্নার সময় আরও কী কী সতর্কতা আমাদের মেনে চলা প্রয়োজন?
উত্তর: ভাত রান্নার সময় পাঠ্যবইয়ে বর্ণিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াও আমরা আরও কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। যেমন চাল পরিমাপ করে নেওয়ার সময় চালের পাত্র থেকে যেন চাল নিচে না পড়ে যায়। চুলা জ্বালানোর পর দিয়াশলাইয়ের কাঠির আগুন নিভিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।

প্রশ্ন ৬। ডিম ভাজার জন্য কী কী তেল ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর: ডিম ভাজার জন্য সচরাচর সয়াবিন তেল ও সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে অনেকেই বিভিন্ন সবজির তেল, অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকে।

প্রশ্ন ৭। ডিম ভাজা কি নাস্তা হিসেবে খাওয়া যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, ডিম ভাজা নাস্তা হিসেবে খাওয়া যাবে। দিনে বা রাতে যেকোনো সময়ে হাল্কা ক্ষুধা নিবারণের জন্য ডিমভাজা খাওয়া যায়। এতে যেমনি পেট ভরে তেমনি দেহের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৮। ডিম ভাঙার সময় কী রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে?
উত্তর: ডিম ভাঙার সময় বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন- ডিম ভাঙার সময় ডিম হাত থেকে পড়ে যেতে পারে। কাপড়ে লেগে যেতে পারে। ডিমের খোসার টুকুরো বাটিতে পড়তে পারে ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৯। পেঁয়াজ কাটার সময় কেমন লেগেছিল?
উত্তর: পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে ঝাঁঝালো একটি অনুভূতি হচ্ছিল। পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখ জ্বলছিল এবং চোখ থেকে পানি এসে চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন ১০। ডিমভাজার সময় আরও কী কী সতকর্তা মেনে চলা প্রয়োজন?
উত্তর: ডিমভাজার সময় পাঠ্যবইয়ে উল্লিখিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াও আরও কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেমন- ডিম তেলের মধ্যে ছাড়ার সময় তেল ছিটে উঠতে পারে তাই চুলার আঁচ কমিয়ে নিতে হবে। ডিম তেলে ছাড়ার পরে নিচের অংশ যেন পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডিমভাজা শেষ হলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।

প্রশ্ন ১১। ডিম তেলে ছাড়ার সময় তেল ছিটার হাত থেকে বাঁচার উপায় কী?
উত্তর: ডিম তেলে ছাড়ার সময় চুলার আঁচ কমিয়ে নিতে হবে এবং ডিম তেলের মধ্যে ছাড়ার সময় হাত নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখতে হবে। তাহলেই তেল ছিটে উঠবে না।

প্রশ্ন ১২। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্য কোনো সবজি দিয়ে কি ভর্তা বানানো যাবে?
উত্তর: পাঠ্যবইয়ে বর্ণিত আলু ভর্তা বানানোর পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও কিছু সবজির ভর্তা বানানো যাবে। যেমন শিম ভর্তা, পেপে ভর্তা, কাঁচা কলা ভর্তা প্রভৃতি।

প্রশ্ন ১৩। আলুর আকৃতি বড় হলে সিদ্ধ করার সময় কী করা যেতে পারে?
উত্তর: সিদ্ধ করার সময় আলুর আকৃতি বড় হলে আলু ছুরি বা বঁটি দিয়ে কেটে ছোট করে দিতে হবে। ছোট করার ফলে আলু ভালোভাবে সিদ্ধ হবে।

প্রশ্ন ১৪। এই কাজের বিশেষ সাবধানতাগুলো কী কী?
উত্তর: আলু ভর্তা করা সময় বিশেষ সাবধানতাগুলো হলো-
(১) বঁটি বা ছুরি সাবধানে নাড়াচড়া করতে হবে যেন হাত কেটে না যায়।
(২) চুলা জ্বালানোর সময় হাত ও কাপড়-চোপড় সাবধানে রাখতে হবে। যেন আগুন না লেগে যায়।
(৩) আলু সিদ্ধ হলো কিনা তা চামচ দিয়ে পরখ করে দেখার সময়, হাত নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।

(8) খুন্তি দিয়ে পরখ করার সময় পাত্রটি কাপড়/ধরনি দিয়ে ধরে নিতে হবে। তা না হলে পাত্রটি পড়ে যেতে পারে।
(৫) আলু সিদ্ধ হলে বেশি গরম অবস্থায় ধরা যাবে না, একটু ঠান্ডা হলে খোসা ছাড়াতে হবে।
(৬) ভর্তা বানানো শেষ হলে অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। নয়তো মরিচের কারণে হাত জ্বলতে পারে।


আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায় – আগামীর স্বপ্ন
আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৪র্থ অধ্যায় – আর্থিক ভাবনা
আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৫ম অধ্যায় – আমার জীবন আমার লক্ষ
আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৬ষ্ঠ অধ্যায় – দশে মিলে করি কাজ

আশাকরি “৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৭ম অধ্যায়” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং লাইভ ক্লাস করতে সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।