|

৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায় – আগামীর স্বপ্ন

৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায়: আজ যেসব জিনিস বাস্তবে দেখছি অতীতে সেগুলোই ছিল মানুষের স্বপ্ন। তেমনি আজকে যেগুলো আমাদের কাছে আগামীর স্বপ্ন সেগুলোর মধ্য থেকেই বাস্তবে রূপ নিবে আমাদের আজকের অনেক স্বপ্ন। একসময় মানুষ পাখি যেমনি আকাশে উড়ে তেমনি উড়ার স্বপ্ন দেখত যা আজ বাস্তব দেখছি। তেমনি একসময় মানুষ দূর-দূরান্তে অবস্থানরত মানুষের সাথে কথা বলা অসম্ভব বলে মনে করত। কিন্তু আজ মোবাইল, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ কথা বলার পাশাপাশি একে অপরকে দেখারও সুযোগ পাচ্ছে।

দেশের বাইরে থেকেও অনায়াসে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারছে। এমনকি মানুষের পরিবর্তে আজ রোবট গাড়ি চালাচ্ছে, খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে এমন একসময় আসবে যখন মানুষের জায়গায় রাজত্ব করবে মানুষের হাতে তৈরি রোবট। তাই ভবিষ্যৎ দুনিয়ায় নিজের জায়গা করে নিতে হলে প্রয়োজন হবে অনেক বুদ্ধি, অনেক দক্ষতা আর নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা। এমন একদিনের স্বপ্ন মানুষ দেখছে, যেদিন টাইম মেশিনে পরিভ্রমণ করে অতীত কিংবা ভবিষ্যতে চলে যেতে পারবে।

তেমনিভাবে মানুষ উড়ন্ত গাড়িতে চড়ে ভ্রমণ করবে এবং উড়ন্ত শহরে অবস্থান করবে। ভবিষ্যতে হয়ত মঙ্গল গ্রহসহ বিভিন্ন গ্রহেও মানুষের বসতি গড়ে উঠবে। তখন প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষ উড়ে বেড়াবে। শুধু তাই নয়, আজ ঘরে বসে যেমন যন্ত্রের মাধ্যমে দূর থেকে বিভিন্ন কাজ করা যায় তেমনি এমন একসময় হয়ত বেশি দূরে নয় যে, ঘরে বসে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে মানুষ তার রাজত্ব সুদৃঢ় করবে এবং জয়ের হাসি হাসবে।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায় পাঠ পর্যালোচনা

আগামীর স্বপ্নের ধারণা

একসময় মানুষ পাখি যেমনি আকাশে উড়ে তেমনি উড়ার স্বপ্ন দেখত। আর সেই স্বপ্নকেই উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট নামের দুই ভাই ১৯০৩ সালে পৃথিবীর আকাশে প্রথম মানুষ বহনযোগ্য উড়োজাহাজ উড়ানোর মধ্যদিয়ে তাদের এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিল। তেমনিভাবে মানুষ আজ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি জমাচ্ছে এবং সেই সাথে স্বপ্ন দেখছে মহাকাশ জয়ের।

শুধু তাই নয়, থ্রিডি প্রিন্টারে খাবার তৈরি, মানুষের মতো দেখতে রোবট তৈরি, অতীত ও ভবিষ্যতে পরিভ্রমণ করা যাবে এমন টাইম মেশিন আবিষ্কার, সবুজ শহর নির্মাণ, উড়ন্ত শহর ও গাড়ি তৈরি, যাত্রীবাহী মহাকাশযান তৈরি এবং যখন খুশি শূন্যে উড়ে মানুষ দূরদূরান্তে সহজেই পরিভ্রমণ করতে পারবে এমন অদ্ভুত এবং রোমান্তকর আবিষ্কারের পিছনে বর্তমান বিজ্ঞান নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে চলেছে। মূলত এগুলোই হচ্ছে বিজ্ঞান তথা আমাদের আগামীর স্বপ্ন। হয়ত অদূর ভবিষ্যতে এসব স্বপ্নের কোনো কোনোটা পূরণ হবে এবং সেদিন মানুষ বিজয়ের হাসি হাসবে।

ভবিষ্যতের গল্প

ভবিষ্যতের গল্প বা আগামীর স্বপ্ন একেকজনের কাছে একেকরকম হতে পারে। প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব জ্ঞান, চিন্তা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষাৎকে চিন্তা করে থাকে। এখানে কিছু চিন্তা বাস্তবের কাছাকাছি আবার কিছু চিন্তা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরেও অবস্থান করবে। তবে বাস্তব- অবাস্তব কিংবা প্রত্যাশিত-অপ্রত্যাশিত যাই হোক না কেন, আগামীর স্বপ্নগুলোই ধীরে ধীরে মানুষ বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়। এসব স্বপ্নের মধ্যে কিছু রয়েছে বাস্তবায়নযোগ্য আবার কিছু রয়েছে অবাস্তব। আমরা পর্যায়ক্রমে মানুষের যে স্বপ্নগুলো বাস্তব হিসেবে দেখছি সেগুলোকে প্রত্যাশিত বা বাস্তবায়নযোগ্য আগামীর স্বপ্ন বা ভবিষ্যতের গল্প হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি।

অনেকেই মনে করতে পারে যে, আমরা কল্পনা করলাম ঠিক আছে; কিন্তু আমি কে বা আমরা কারা? ভবিষ্যতকে বদলানোর জন্য আমাদের কাছে তো সেই দক্ষতা বা ক্ষমতা নেই। তবে এটাও সত্য যে, প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু দক্ষতা বা ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। আবার কিছু অদূর ভবিষ্যতেই প্রস্ফুটিত হতে দেখা যায়, যার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নুষ পৃথিবীতে নতুন কিছু সৃষ্টি বা উদ্ভাবন করছে। তাই একজন মানুষের ভবিষ্যতের কল্পনা এবং চিন্তাশক্তিই তাকে অদূর ভবিষ্যতের জন্য, ভবিষ্যতের গল্প বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যম, সাহস ও রসদ জোগাবে।

ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ও পেশা

একসময় উড়োজাহাজ, কম্পিউটার, টেলিফোন, মোবাইল, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, রোবট, থ্রিডি প্রিন্টার, ভয়েস টেকনোলজি, বায়োম্যাট্রিকস প্রভৃতি প্রযুক্তি ছিল মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্তু আজ সেই স্বপ্নই হচ্ছে বাস্তব। আর আজ মানুষের স্বপ্ন হলো টাইম মেশিন, উড়ন্ত গাড়ি, উড়ন্ত শহর, মাল এক্সপ্রেস প্রভৃতি যা একদিন হয়ত বাস্তবে রূপান্তর হবে। একসময় পেশা হিসেবে কৃষক, তাঁতি, জেলে, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

আজ পেশা হিসেবে নভোচারী, মহাকাশ বিজ্ঞানী, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, শিল্প উদ্যোক্তা প্রভৃতি দেখা যায়। তেমনিভাবে ভবিষ্যতে পেশা হিসেবে মানুষ হয়ত বেছে নেবে রোবট কন্ট্রোলার, মঙ্গলগ্রহের গণস্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডিজিটাল পোশাক উৎপাদক, আন্তঃগ্রহ বিশেষজ্ঞ প্রভৃতি।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। রাইট ব্রাদার্স নামে পরিচিত কারা?
উত্তর: উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট।

প্রশ্ন ২। উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট দুই ভাই বিখ্যাত কেন?
উত্তর: প্রথম উড়োজাহাজ আবিষ্কারক বলে।

প্রশ্ন ৩। কত সালে পৃথিবীর আকাশে প্রথম মানুষ বহনযোগ্য উড়োজাহাজ উড়ে?
উত্তর: ১৯০৩ সালে।

প্রশ্ন ৪। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি কে?
উত্তর: বিখ্যাত চিত্রকর।

প্রশ্ন ৫। ‘অনির্ঘণ্টার’ ছবি কে আঁকেন?
উত্তর: লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি।

প্রশ্ন ৬। The codex on the flight of bird কী?
উত্তর: লিওনার্দো দ্যা ভিত্তির ছবি আঁকার খাতা।

প্রশ্ন ৭। বর্তমানে আমরা কত শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছি?
উত্তর: চতুর্থ।

প্রশ্ন ৮। মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের উপায়কে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে কোনটি?
উত্তর: প্রযুক্তিগত বিপ্লব।

প্রশ্ন ৯। কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরির প্রযুক্তিকে কী বলে?
উত্তর: থ্রিডি প্রিন্টার।

প্রশ্ন ১০। রোবট দেখতে কেমন?
উত্তর: মানুষের মতো।

প্রশ্ন ১১। মানুষের জায়গায় রাজত্ব করবে কে? উত্তর: রোবট।

প্রশ্ন ১২। কোনটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে?
উত্তর: রোবট।

প্রশ্ন ১৩। কেন রোবট মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে?
উত্তর: উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে।

প্রশ্ন ১৪। রোবটের কাজের প্রোগ্রাম কে ঠিক করে দেয়?
উত্তর: মানুষ।

প্রশ্ন ১৫। ভবিষাৎ দুনিয়ায় নিজের জায়গা করে নিতে হলে কী লাগবে?
উত্তর: অনেক বুদ্ধি।

প্রশ্ন ১৬। প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বিভিন্ন প্রয়োগ।

প্রশ্ন ১৭। ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর চিনতে পারা যায় কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে?
উত্তর: ভয়েস প্রযুক্তির মাধ্যমে।

প্রশ্ন ১৮। কোন প্রযুক্তি আঙুলের ছাপ স্ক্যান করে মানুষকে চিহ্নিত করতে পারে?
উত্তর: বায়োম্যাট্রিক্স প্রযুক্তি।

প্রশ্ন ১৯। ভবিষ্যতে মানুষের কোথায় বসতি তৈরি হবে?
উত্তর: মঙ্গল গ্রহে।

প্রশ্ন ২০ মানুষ পৃথিবী থেকে কীভাবে মঙ্গল গ্রহে নিয়মিত যাতায়াত করতে পারবে?
উত্তর: মঙ্গল এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।

প্রশ্ন ২১। কোনটি পেশাগত জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে?
উত্তর: প্রযুক্তি।

প্রশ্ন ২২। কেন চালকদের চাকরি চলে যাবে?
উত্তর: চালকবিহীন গাড়ি চললে।


৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। অভিযোজন কী?
উত্তর: পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে উপযোগী করে তুলে বেঁচে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পারাই হলো অভিযোজন। অভিযোজনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নিজ প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে উপযোগী করে তোলা।

প্রশ্ন ২। অনির্ঘণ্টার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির কল্পিত পাখাবিশিষ্ট আকাশযানের ছবি। ১৪৮৫ সালে আঁকা ছবি এটি। এই ছবিটি ছিল পাখির মতো ডানাবিশিষ্ট একটি উড়োজাহাজের কল্পিত নকশা।

প্রশ্ন ৩। অ্যালার্মওয়ালা বালিশ কী?
উত্তর: অ্যালার্মওয়ালা বালিশ একটি স্মার্ট বালিশ যেখানে অ্যালার্ম ঠিক করে রাখা যায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বালিশ পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী নড়াচড়ার মাধ্যমে মানুষকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে।

প্রশ্ন ৪। ড্রোন কী?
উত্তর: ড্রোন হচ্ছে এমন এক ধরনের উড়োজাহাজ/বিমান যা পাইলট ব্যতীত চলাচল করে। ড্রোন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে; যেমন- খেলনা ড্রোন, যাত্রীবাহী ড্রোন, যুদ্ধ ড্রোন, শিক্ষা ড্রোন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫। প্রজেক্টর কাকে বলে?
উত্তর: প্রজেক্টর হলো একটি ইলেকট্রো-অপটিক্যাল যন্ত্র যা দিয়ে ভিডিও, ছবি ও বিভিন্ন তথ্য বড় স্ক্রিন করে দেখা যায়। সাধারণত এর মাধ্যমে বড় পর্দার ওপর আলোকরশ্মি প্রক্ষেপণের অর্থাৎ রশ্মি ফেলার মাধ্যমে চিত্র দেখা যায়।

প্রশ্ন ৬। কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন সম্পর্কে লেখ?
উত্তর: কোনো বস্তু বা পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশকে একস্থান হতে অন্যস্থানে প্রেরণ করার নাম কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একস্থানের দ্রব্য সম্পর্কে অন্য জায়গায় খবর পাঠিয়ে সেই জায়গায়ও এখানকার দ্রব্য তৈরি করার পদ্ধতিকে বলা হয় কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন।

প্রশ্ন ৭। কন্ট্রোল টাওয়ার কী?
উত্তর: কন্ট্রোল টাওয়ার হচ্ছে গ্লাস দ্বারা বেষ্টিত এমন একটি সুউচ্চ ভাসমান স্থাপনা যেখান থেকে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রশ্ন ৮। ভয়েস টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: ফোন ব্যবহারকারীর কন্ঠস্বর চিনতে পারে এমন প্রযুক্তিই হলো ভয়েস টেকনোলজি। ভয়েস টেকনোলজির একটি অংশ হলো ভয়েস রিকগনিশন। ভয়েস রিকগনিশন বলতে একটি নির্দিষ্ট ডিভাইসের তথ্য নির্দেশাবলি গ্রহণ এবং ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা বোঝায়। সহজভাবে বললে, ভয়েস রিকগনিশন প্রযুক্তি মানুষের আদেশে যোগাযোগ করতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। ফোনে ভয়েস প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কন্ঠস্বর চিনতে পারে এবং এভাবে ফোনকে বিভিন্ন কাজ করতে বলতে পারে।

প্রশ্ন ৯। মাল এক্সপ্রেস ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মঙ্গল এক্সপ্রেস হলো পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে নিয়মিত যাতায়াত ক্ষমতাসম্পন্ন কাল্পনিক যান। ভবিষ্যতে হয়ত মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি তৈরি হবে। তখন মঙ্গল এক্সপ্রেসের মাধ্যমে মানুষ পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে নিয়মিত যাতায়াত করতে পারবে।

প্রশ্ন ১০। বায়োম্যাট্রিকস কী?
উত্তর: বায়োম্যাট্রিক (Biometric) হলো কোনো মানুষের অন্যান্য (Unique) শারীরিক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের পরিমাপ এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয় এবং শনাক্তকরণের ফলে বিভিন্ন অনুমতি দেওয়া সহজ হয়। উদাহরণ: বায়োমেট্রিক এর মাধ্যমে কম্পিউটার আমাদের আঙুলের ছাপ, চেহারা, চোখ ইত্যাদি স্ক্যান করে মানুষকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের (যেমন- অফিসে প্রবেশ) অনুমতি দেয়।

প্রশ্ন ১১। বায়োম্যাট্রিকসের সুবিধা কী?
উত্তর: মানুষের শরীরের নির্দিষ্ট অংশ যেমন আঙুলের ছাপ, চেহারা, চোখ ইত্যাদি স্ক্যান করে মানুষকে চিহ্নিত করার প্রযুক্তিই হলো বায়োম্যাট্রিকস। এর মাধ্যমে শত্রু শনাক্ত করা তথ্য অন্যায়কারী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা সহজ হয়। তাছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা যায়। বর্তমানে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজিরা ও উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ কাজ সহজ হচ্ছে।

প্রশ্ন ১২। চালকবিহীন গাড়ির ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: চালকবিহীন গাড়ি হলো ডিজিটাল প্রযুক্তিসম্পন্ন গাড়ি যেটি চালকবিহীন অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে সক্ষম। চালকবিহীন গাড়ি ব্যবহারের ফলে শহরের ট্রাফিক জ্যাম কমবে, মানুষের সময় সাশ্রয় হবে এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা কমবে। তবে চালকবিহীন গাড়ি ব্যবহারের ফলে চালকদের চাকরি চলে যাবে এবং তাদের অন্য চাকরি খুঁজতে হবে। ফলে বেকারত্ব বাড়বে।

প্রশ্ন ১৩। চালকবিহীন গাড়ির সুবিধা কী?
উত্তর: চালকবিহীন গাড়ি ব্যবহারের ফলে শহরের ট্রাফিক জ্যাম কমবে, মানুষের সময় সাশ্রয় হবে এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা কমবে।

প্রশ্ন ১৪। চালকবিহীন গাড়ির অসুবিধা কী?
উত্তর: চালকবিহীন গাড়ি ব্যবহারের ফলে চালকদের চাকরি চলে যাবে। চালকদেরকে অন্য চাকরি খুঁজতে হবে। ফলে বেকারত্ব বাড়বে।

প্রশ্ন ১৫। রোবট ব্যবহারের সুবিধা কী?
উত্তর: মানুষের পক্ষে যেসব কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ ঐসব কাজে রোবট ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া মানুষের বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজে রোবট সহায়তা করবে। মানুষের সময় বাঁচবে। ফলে মানুষ তার উদ্বৃত্ত সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং কাজের গতি বাড়বে।

প্রশ্ন ১৬। রোবট ব্যবহারের অসুবিধা কী?
উত্তর: রোবট ব্যবহারের ফলে মানুষের অনেক কর্মক্ষেত্র রোবটের দখলে চলে যাবে। ফলে বেকারত্ব বাড়বে এবং আর্থিক কষ্ট বাড়বে। তাছাড়া মানুষ কাজে আগ্রহ হারাবে এবং মানুষের আবেগ অনুভূতি কমবে।

প্রশ্ন ১৭। হলোগ্রাফি কাকে বলে?
উত্তর: হলোগ্রাফি হচ্ছে এমন এক ধরনের ফটোগ্রাফিক প্রযুক্তি যা কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে তৈরি করা ছবি হলোগ্রাম নামে পরিচিত। মূলত হলোগ্রাফি হলো ফটো তোলার নতুন প্রযুক্তি। ক্যামেরায় আমরা যে ছবি তুলি তা হলো দ্বিমাত্রিক। সাধারণত ছবির দুটি মাত্রা থাকে। এ দুটি মাত্রা হলো দৈর্ঘ্য ও প্রশ্ন হলোগ্রাফি প্রযুক্তিতে ছবি তোলা হলে হলোগ্রামের মাধ্যমে বস্তুর ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব প্রদান করে এবং ছবিটি দেখতে অবিকল ত্রিমাত্রিক কঠিন বস্তুর (আসল বস্তুর) মতো মনে হয়।

প্রশ্ন ১৮। হলোগ্রাফি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: হলোগ্রাফি হলো ফটো তোলার নতুন প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ছবি তুললে ছবির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ছাড়াও আরও একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। ফলে ছবিটি আসল ছবির মতো মনে হয়। মূলত এটি ত্রিমাত্রিক ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৯। উড়োজাহাজ কী?
উত্তর: উড়োজাহাজ বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এক ধরনের আকাশযান। যাত্রী, গণ্য পরিবহন এবং যুদ্ধে এটি ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ২০। কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো বস্তু বা পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশকে একস্থান হতে অন্যস্থানে প্রেরণ করার নাম কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একস্থানের দ্রব্য সম্পর্কে অন্য জায়গায় খবর পাঠিয়ে সেই জায়গায়ও এখানকার দ্রব্য তৈরি করার পদ্ধতিকে বলা হয় কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন।

প্রশ্ন ২১। স্ক্যান বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ড্যান হলো ডিজিটাল চিত্রধারণ প্রযুক্তি। স্ক্যানের মাধ্যমে কোনো একটি ছবিকে হুবহু ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা যায়। যেমন- স্ক্যান করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ই-মেইলে একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রেরণ।

প্রশ্ন ২২। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনুকরণে প্রোগ্রামকে বোঝায় যা মানুষের মতো চিন্তা করে এবং তাদের কর্মকাণ্ড অনুসরণ করে। যেমন- রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের কাজে সহযোগিতা করতে পারে। এমনকি কথাও বলতে পারে।

প্রশ্ন ২৩। স্ক্যানার কী?
উত্তর: যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো ছবি, হাতের লেখা অথবা কোনো বস্তুকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে হুবহু রূপান্তর করা যায় তাকে স্ক্যানার বলে।

প্রশ্ন ২৪। স্ক্যানার ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস বা নথিপত্রকে কপি করে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তরের মাধ্যমে কপি করা, অন্যত্র প্রেরণ ও ভবিষ্যতে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে স্ক্যানার ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ২৫। থ্রিডি মাইক্রোওয়েব কী?
উত্তর: থ্রিডি মাইক্রোওয়েব প্রযুক্তি থেকে থ্রিডি প্রিন্টারের মতন খাবার বের হতে পারে। প্রিন্টার থেকে যেরকম কাগজ বের হয়, থ্রিডি প্রিন্টার থেকে বস্তু বের হয়। আজকাল থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র ও শিল্পপণ্য বানানো হচ্ছে। এমনকি পুরো বাসাবাড়িও বানানো হচ্ছে এবং খাবার বানানো নিয়েও গবেষণা হচ্ছে।


আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ৫ম পরিচ্ছেদ – নাটক


আশাকরি “৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ৩য় অধ্যায়” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং লাইভ ক্লাস করতে সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।